বাজারে নানা ধরনের প্রাকৃতিক, কৃত্রিম ও মিশ্র তন্তুর বস্ত্র দেখা যায়। কোনো একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমে একটি কাপড়ের তন্তুর প্রকৃতি সঠিকভাবে নির্ণয় করা কষ্টকর। একাধিক পরীক্ষার সাহায্যেই তা স্থির করতে হয়। সাধারণত যেসব পরীক্ষার সাহায্যে তন্তুর প্রকৃতি নির্ধারণ করা হয় তাকেই তন্তু শনাক্তকরণ বলে। তন্তু চেনার জন্য যেসব পরীক্ষার আশ্রয় নিতে হয় সেগুলোকে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন—
ক) তন্তুর ভৌত পরীক্ষা (Physical test ) - ভৌত পরীক্ষাগুলো ঘরে বসেই করা যায়। এগুলো অপ্ৰযুক্তিগত বা non technical হওয়ায় এসব পরীক্ষার উপর খুব বেশি নির্ভর করা যায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তন্তুর প্রকৃতি সম্পর্কে আভাস পাওয়া যায় মাত্র, সঠিকভাবে তন্তুর প্রকৃতি নির্ধারণ করা যায় না ।
ভৌত পরীক্ষাগুলো নিচে তুলে ধরা হলো—
১। স্পর্শ করে পরীক্ষা – অনেক দিনের অভিজ্ঞতার কারণে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি হাত দিয়ে স্পর্শ করে বিভিন্ন - প্রকার তন্তুর তৈরি কাপড় শনাক্ত করতে পারেন। যেমন- সুতির কাপড় হাত দিয়ে ঘষলে ঠান্ডা ও নরম অনুভূতি জাগে। লিনেন কাপড় সুতি কাপড়ের তুলনায় অনেক ঠান্ডা ও মসৃণ মনে হয়। তবে পশমি বস্ত্ৰ গরম ও নমনীয় এবং রেশমি বস্ত্র গরম ও মসৃণ মনে হয়। দুই বা ততোধিক তন্তু দিয়ে মিশ্রিত তন্তুর কাপড় এ পদ্ধতিতে শনাক্ত করা কঠিন।
২। চাক্ষুস পরীক্ষা – ভৌত পরীক্ষাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ পরীক্ষা হলো চাক্ষুস পর্যবেক্ষণ। তন্তুর দৈর্ঘ্য, - উজ্জ্বলতা ইত্যাদি দেখে তন্তুর প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা করা যায়।
৩। ভাঁজ করে পরীক্ষা- একটি বস্ত্র দুই ভাঁজ করে আঙ্গুলের সাহায্যে চেপে ধরতে হবে। বস্ত্রটি যদি ফ্যাক্স তন্তুর হয় তাহলে ভাঁজের দাগ বেশ সুস্পষ্ট হবে এবং এ দাগ সহজে মিলে যাবে না। সুতির বস্ত্রেও ভাঁজের দাগ পড়বে কিন্তু এ দাগ লিনেনের মতো এত সুস্পষ্ট হবে না। রেশমি ও পশমি বস্ত্রে এ পরীক্ষায় কোনো ভাঁজ পড়বে না। কাজেই এ পরীক্ষার সাহায্যে সুতি- লিনেন ও রেশমি- পশমি বস্ত্রের পার্থক্য শনাক্ত করা যায় ৷
৪। পাক খুলে পরীক্ষা – বস্ত্র থেকে কয়েকটি সুতা বের করে তাদের পাক খুলে ফেলতে হবে। বস্ত্ৰটি পশম তন্তুর হলে পশমি সুতায় পশমের স্বাভাবিক ভাঁজ বা ঢেউ দেখা যাবে। এ ছাড়া একটি সুতাকে ছিঁড়ে তার ছেঁড়া অংশ পরীক্ষা করেও তন্তুর উৎস শনাক্ত করা যায়। যেখানে তন্তুটি ছিঁড়ে যাবে তার সম্মুখভাগ যদি দেখতে সূঁচের মতো সরু হয় তবে তা ফ্ল্যাক্স তন্তু বুঝতে হবে। অন্যদিকে যদি সম্মুখভাগ দেখতে একটি তুলির সম্মুখভাগের মতো মোটা হয় তবে তা তুলা তন্তু বলে বুঝতে হবে।
৫। ভিজিয়ে পরীক্ষা – এ পরীক্ষার সাহায্যে ফ্ল্যাক্স ও নাইলন তন্তু সহজেই চেনা যায়। কেননা লিনেন বস্ত্রের পানি শোষণ ক্ষমতা বেশ ভালো। আঙুলের সাহায্যে এক ফোঁটা পানি কোনো কাপড়ের উপর রাখার সাথে সাথে যদি পানি কাপড়ে প্রবেশ করে এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, তবে বুঝতে হবে কাপড়টি ফ্ল্যাক্স তন্তু দিয়ে প্রস্তুত। অন্যদিকে শোষণ ক্ষমতা না থাকার কারণে নাইলনতন্তুর বত্রে পানি প্রবেশ করবে না
৬। গরম ইস্ত্রি দিয়ে পরীক্ষা - এ পরীক্ষার মাধ্যমে কৃত্রিম তন্তুর বস্ত্র সহজেই শনাক্ত করা যায়। একটি ইস্ত্রি খুৰ গরম করে কাপড়ের উপর চেপে ধরলে যদি কাপড়টি এসিটেট, নাইলন বা ডেকোন ভৰে তা একেবারেই গলে যাবে। ফুল, ফ্যাক্স, রোষ, পশম বা জোনের হলে কাপড়ে লালচে পড়া পরবে।
৭। লেবেল দেখে পরীক্ষা- কাপড়ের গায়ে সংযুক্ত লেবেলে তন্তু সম্পর্কিত নানা ধরনের তথ্য দেওয়া থাকে, যা দেখে একজন ক্রেতা কাপড়টি কোন ধরনের তন্তুর তৈরি সে সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে।
৮। কলগছ পুড়িয়ে পরীক্ষা - পোড়ানো পরীক্ষা একটি খুব ভালো প্রাথমিক পরীক্ষা। এ পরীক্ষার জন্য করণীয় গুলো হচ্ছে- কাপড়ের টানা সুতা যতে দুই একটা সুতা দিয়ে পাক খুলে লাগুনের শিখার ধরে প্রজননের সমুনা ও ছাই পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং ভ থেকে যে গল্প বের হয় তা লক্ষ করতে হবে। এরপর পড়েন সুতা নিয়ে পুনরায় পরীক্ষা করতে হবে। কুদন প্রক্রিয়ার কাপড়টি তৈরি না ফলে সুতার পরিবর্তে এক টুকরা কাপড় পোড়ানো পরীক্ষার ব্যবহার করতে হবে।
পোড়ানো পরীক্ষায় হাই
গোঁড়া পরীক্ষার ফলাফলের ত্রুটি
প্রতি হয় । না।
নাইন
আর্গুনের শিখার পে
चिकना
শিল্প
ধীরে পোড়ে এবং শেয়ার
करें
নিজেই নিচে
কেন হয়।
न
এ ছোট কালো দুটিকা সৃষ্টি হয়।
मंगदक मंगलकी ।
निण निकरे
Read more